• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন

ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন ডেস্ক / ১৮২ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১

গাজা ভূ-খণ্ডে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা তীব্র আকার নিয়েছে। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে পরিস্থিতি ‌‌একটা পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গত সোমবার (১১ মে) থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। এ হামলায় অনন্ত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে চলা সংঘর্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনী কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ছোড়া রকেট হামলায় ইসরাইলি সেনাসহ ৬ জন নিহত হয়েছে বলা জানা গেছে।

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ৩৮ ঘণ্টা ধরে এক হাজারের ওপর রকেট ছুঁড়েছে বলে জানাচ্ছে ইসরায়েল। তারা বলছে বেশির ভাগ আক্রমণ হয়েছে তেল আবিবের ওপর। ইসরায়েলও ধ্বংসাত্মক বিমান হামলা চালিয়েছে।

২০১৪ সালের পর এটিই ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। ২০১৪ সালে সাত সপ্তাহের যুদ্ধে ২ হাজার ১০০ গাজাবাসী ও ৭৩ ইসরাইলি নিহত হয়। এবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।

জেরুসালেমের একটি এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বিরাজ করার পর এই লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়েছে।

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে।  ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।

এদিকে গাজায় “অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত শক্তি” প্রয়োগ করায় ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী বারবার আল-আকসা মসজিদে সহিংস অভিযানের সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অপরিকল্পিত এবং বেআইনিভাবে শক্তি মোতায়েন করেছে এবং শেখ জারারাহ-তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর অকারণে হামলা চালিয়েছে।


আরো পড়ুন