• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ৭২ শতাংশ অবৈধ ভারতীয় রয়েছে, সবাইকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।।

/ ৩৯৯ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ৭ বছরে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করা ভারতীয়ের সংখ্যা বেড়েছে। এই সমস্যা শুধু ভারতকেই নয়, জ্বালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে সেই হার। সাউথ এশিয়ান অ্যাডভোকেসি গ্রুপের করা সমীক্ষা সেই তথ্যই দিচ্ছে। আমেরিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় মিলিয়ে সেই হার দাঁড়িয়েছে ৭২ শতাংশ।

যাদের কাছে সেদেশে থাকার মতো প্রয়োজনীয় নথি নেই। আর এই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। প্রায় ছয় লাখ ৩০ হাজার ভারতীয় এভাবেই বসবাস করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে আড়াই লক্ষ ভারতীয়ের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে ২০১৬ সালেই। তারপরেও সেদেশেই বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তবে শুধু ভারতীয়ই নয়, এভাবেই অবৈধ ভাবে রয়ে গিয়েছেন অনেক নেপালিও। ২০১০ সাল থেকে সেই সংখ্যা বেড়েছে ২০৬ শতাংশ।

ভুটানিদের সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ, পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের হার ৩৩ শতাংশ, বাংলাদেশী রয়েছেন ২৬ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা রয়েছে ১৫ শতাংশ হারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনালড ট্রাম্প জানিয়েছেন, দেশব্যাপি যেসব অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হবে, তাদেরকে তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী ও শুল্ক প্রবর্তন সংস্থার অস্থায়ী পরিচালক মার্ক মরগান সাংবাদিকদের জানান,

যেই পরিবারগুলো নির্বাসন নির্দেশ পেয়েছে তাদেরকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। শনিবার টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, যারা আইন অমান্য করে এই দেশে প্রবেশ করেছেন এবং আইন অমান্য করে এই দেশে বসবাস করেছেন তাদের সময় হয়েছে নিজ দেশে ফেরত যাবার। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,প্রেসিডেন্ট ডনালড ট্রাম্প অভিবাসী যারা নিরবাসন আদেশ পেয়েছেন, তাদেরকে আটক করার জন্য অভিবাসী প্রবর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই অভিযান রবিবার থেকে শুরু হবার কথা রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট এর খবরে জানা যায়, এই অভিযান মুলুত চালান হবে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে, যার মধ্যে রয়েছে হিউস্তন, শিকাগো, নিউ ইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা অভিযানের এই তথ্য জানায়। প্রায় ২০০০ পরিবারকে লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার এক টুইট বার্তায় জানান,

আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক কোটি অবৈধ অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠাবে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অস্থায়ী পরিচালক কেভিন মেক্লিনান সতর্ক করে বলেন, এই অভিযান পরিবার থেকে শিশুদের আলাদা করে দেবে। আইসের অস্থায়ী পরিচালক মার্ক মরগান বলেন, অভিবাসন পদ্ধতির অখণ্ডতা বজায় রাখতে এই অভিযান চালানো প্রয়োজন। অভিবাসন পদ্ধতির অখণ্ডতা বজায় রাখতে এই অভিযান চালানো প্রয়োজন।

কালিমা পড়ে স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন জামালপুরের কৃষ্ণ বাবু! জামালপুরে স্ব-ইচ্ছায় হিন্দু থেকে স্ব-পরিবারে মুসলমান হন শ্রী কৃষ্ণ বাবু (২৯) নামের এক হিন্দু যুকব। বর্তমানে তার নাম বিলাল হোসেন মণ্ডল। তিনি জামালপুর শহরের কাচারী পাড়া এলাকার শ্রী মন্টু ঋষীর ছেলে। বিলাল হোসেনের স্ত্রী পূর্নি ঋষির[হিন্দু অবস্থায়] (২৬) বর্তমান নাম মোছাঃ মরিয়ম, বড় ছেলে শ্রী সুখ নাথ ঋষির (৮) বর্তমান নাম হাসান এবং ছোট ছেলে শ্রী দুখ নাথ ঋষির (৬) বর্তমান নাম হুসাইন।

এ বিষয়টি গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মুসল্লীদের জানিয়েছেন, জামালপুর শহরের কাচারীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম। জুমার নামাজ শেষে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার- বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য মুসলিম হওয়া বিলাল হোসেন মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাচারীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ এ.কে.এম জহুরুল ইসলাম মনসুর,

সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, মিজানুর রহমানসহ মসজিদ কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দ ও মুসল্লি। এ সময় সদ্য মুসলিম হওয়া এ পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া সদ্য মুসলিম দুই শিশুকে আলহাজ নূর মোহাম্মদ ক্বওমী মাদ্রাসায় বিনামূল্যে পড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ওই মাদ্রাসার মোহতামিম কাচারীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম। এদিকে গত ১৩ জুন জামালপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হলফনামা-এর মাধ্যমে সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ওই পরিবারের চারজন সদস্য। যার রেজিঃ নং- ৫৮০। এরপর আবার জামালপুর শহরের কাচারীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম তাদের কালিমা পড়ান। সদ্য মুসলিম হওয়া বিলাল হোসেন মন্ডল বলেন, আমি বিভিন্ন সময় ওয়াজ মাহফিলে যেতাম এবং মোবাইলে ওয়াজ শুনতাম।

বাড়িতে গিয়ে ওইসব বিষয় আমার স্ত্রীকে বলতাম। এরপর থেকে আমাদের কাছে ইসলাম ধর্ম ভালো লাগতে শুরু করে। এক পর্যায়ে আমি ও আমার স্ত্রী পরামর্শ করে নিজেদের ইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই। পরে মুসলমান হওয়ার বিষয়ে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন কাচারী পাড়া এলাকার মোঃ আল আমিন হীরা। পরে মুসলমান হওয়ার বিষয়ে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন কাচারী পাড়া এলাকার মোঃ আল আমিন হীরা।


আরো পড়ুন