• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬৭ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১

করোনাকালে দেশের গণমাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অর্থ বিতরণের উদ্দেশ্যটি নি:সন্দেহে মহৎ, প্রশংসিত। ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমি উপকৃত না হলেও সারাদেশের ২’শ সাংবাদিক পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে এতেই যেনই ভালো লাগছে। ঈদপূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে আরো বেশকিছু সাংবাদিককে অনুদানের আওতায় আনার পরিকল্পনা কল্যাণ ট্রাস্টের রয়েছে।

তবে ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের অনুদান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন একশ্রেনীর সাংবাদিকরা। ফরমে সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং প্রেসক্লাবের সুপারিশের কথা বলা আছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে সাংবাদিক ইউনিয়ের শাখা না থাকা; অপরদিকে একাধিক প্রেসক্লাব থাকায় বিপাকে পড়ছেন সাংবাদিকরা। তারা কোন সংগঠনের সুপারিশ নেবেন তা নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়ছেন আবেদনে ইচ্ছুকরা। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সুপারিশের গ্রহনযোগ্যতা দেয়ার দাবি করা হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ মহতি উদ্যোগকে ভেস্তে দিতে একশ্রেনীর চাটুকাররা মাঠে রয়েছে। সাংবাদিক নয়, অপেশাদার এমন লোকজনকে অনুদান পাইয়ে দিতে কাজ করছে।

মহামারী করোনাকালে এই দু’শো সাংবাদিকের অধিকাংশই অসুস্থ, নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, অসহায় কিংবা চাকরীচ্যুত বেকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম অধিক সংখ্যক সাংবাদিককে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান করা হয়। তবে এর আগে গতবছরও বিপুল সংখ্যক সাংবাদিককে অনুদান প্রদান করে।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে নিজস্ব তহবিলের অর্থে তিনি এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ আর বেকার-অসচ্ছল সাংবাদিকরা এখান থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে আসছেন।

তবে এটা কোন দু:স্থ তহবিল নয়, সর্বস্তরের সাংবাদিকরা আবেদন করে এ সুবিধা পেয়ে আসছেন। সুতরাং কল্যাণ ট্রাস্টকে দু:স্থদের ভাবার কোনো কারণ নেই। ট্রাস্ট সব সাংবাদিকদের কল্যাণে পাশে থাকা প্রতিষ্ঠান। আগামীতে এ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তিও প্রদান করা হবে এমনটি জানাগেছে। নি:সন্দেহে এটিও একটি মহৎ উদ্যোগ।

করোনার প্রথম ধাপে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। এবারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তথা অতিমারিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। যা গত ৪ মে থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে।

ইতিপূর্বেও অনেক দুর্যোগ-দুর্বিপাক, মহামারী গেছে কিন্তু কখনও কোন সরকার কিংবা সরকার প্রধান ফ্রন্টলাইনার সাংবাদিকদের কথা ভাবেননি। পাশে দাঁড়াননি। এ ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা।
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের এই শুভক্ষণে সাংবাদিকদের পাশে থাকায় মাদার অব হিউম্যানিটি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিএমএসএফ গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তবে জেলাকোটা অনুযায়ী সুষম বন্টনেরও আশা করা হয়।

লেখক: আহমেদ আবু জাফর
সাধারণ সম্পাদক,বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি, ৬ মে ২০২১ খ্রী:।


আরো পড়ুন