• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন

বড়ডলু প্রধান শিক্ষকের অর্থ বাণিজ্য, এলাকা থমথমে!

/ ২৬৬ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

শাহীন আলম,খাগড়াছড়ি:মানিকছড়ি উপজেলা বড় ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহম্মদ এর বিরুদ্ধে স্কুলের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। ৩ শত ৭০জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি আদায় করে আত্নসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিকছড়ির বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩শত ৭০ জনছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি আদায় করে এ শিক্ষক। নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ফি আদায়ের পর তা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও স্কুল কমিটির সে নিয়মও ভঙ্গ করে তিনি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বছরে ২টি পরিক্ষা হওয়ার নিয়ম থাকলেও বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ে ইতি মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের কাজ থেকে চাপ প্রয়োগ করে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক বশির আহম্মদ সাত মাসের মাথায় ২টি পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফেলেছে। এছাড়াও ৮ম শ্রেনীর রেজিষ্ট্রেশন ফি-৬০টাকার পরিবর্তে ৩ শত ও ৯ম/১০ম শ্রেনীর রেজিষ্ট্রেশন ফি- ১৭৮ টাকার পরিবর্তে ৫’শত টাকা নেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ১লা জানুয়ারী ১৯- থেকে জুলাই ১৯ পর্যন্ত স্কুলের মোট আয়- ৯লক্ষ ১৪হাজার ৮শত ৭০টাকা কিন্তু কলেজের ফান্ডে জমা হয় ৫ লক্ষ ১৬হাজার ৭শত ৩৫টাকা।

বাকি ৩ লক্ষ ৯৮হাজার ১শত ৩৫টাকা লোপাট সহ দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন এ শিক্ষক। অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বশির আহম্মদ অতিরিক্ত ফি ও মডেল টেস্টের অভিযোগের সত্যতা শিকার করেন। এ সময় তিনি স্কুল ফান্ডের ৩লক্ষ ৯৮হাজার ১শত ৩৫টাকা আত্মসাতের বিষয় অস্বীকার করে ঐ টাকা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যয় হয়েছে এবং ম্যানেজিং কমিটির কাছে সে হিসাব চাইলে দিতে পারবেন বলে জানান।ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আজাদ চৌধুরী বাবুল বলেন, অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যেনেছি। ৮ম ও ৯ম শ্রেনীর ফরম ফিলাপের জন্য যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি কোন সদস্য অবগত নয়। এমনকি গত ১বছরের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির কোন প্রকার বৈঠক হয়নি বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন,অভিযোগ উঠার পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রথমে ১৫০ টাকা পরবতর্ীতে বিষয়টি বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানোজিং কমিটির সভাপতি ও মানিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ২য় ধাপে আরও ১শত টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরৎ দেওয়া হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বছরে ২টি পরিক্ষা হওয়ার নিয়ম থাকলেও এ শিক্ষক নিয়ম বহিঃর্ভূত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ আনেন।অনিয়মের বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা অফিসার সাধন কুমার চাকমা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না,শুনলাম সত্যতা প্রমান হলে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান। সে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করানা গেলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়া সহ অনিয়ম-দুর্নীতি উৎসাহিতহ বেদাবী সচেতন সমাজের।


আরো পড়ুন