• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

বি,পাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা

/ ৩৯১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

মোঃমমিনুল ইসলাম: সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ ব্যাপক আকার ধারন করলেও কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম না থাকায় এডিস মশা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।সোমবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে দেখা যায়,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বাহির থেকে মনোরম পরিবেশ মনে হলেও ভিতরে এর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।হাসপাতালের ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করায় ড্রেনে ময়লা পানি জমে আছে।এতে করে এডিস মসার জন্ম হচ্ছে।
কমপ্লেক্সের ভিতরে বাসভবনসহ রোগীদের জন্য খাবার তৈরির রান্নাঘরের পাশে ড্রেনে ময়লা আবর্জনাসহ হাসপাতালের ভিতরে যতগুলো ড্রেন আছে একটিও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যায়নি।বিভিন্ন ভবনের সামনে কিছুটা পরিস্কার করা হলেও পেছনের অংশে গাছের ঝুপড়ি দেখে বুঝাযায় সেগুলো বছরেও পরিস্কার করা হচ্ছে না।
হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের এরকম উদাসিহীনতায় এলাকাবাসী হতবাগ।
হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের জন্য বাসভবন গুলোর পেছনে ঘাস এবং ঝুপড়ী এবং ড্রেনে ইতিমধ্যে প্রচুর এডিস মশা বাসা বেধেছে।কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,তাদের সন্তান ও পরিবার নিয়ে ডেঙ্গু আতংকে ঝুকির মধ্যে বসবাস করছে। হাসপাতালে আসা-যাওয়ার রুগীরাও আছেন আতংকে। অপরিচ্ছন্ন এলাকা থেকে যেকোন সময় এডিস মশা কামড়ে দিতে পারে।
সব মিলিয়ে ডেঙ্গু আতংকে স্বয়ং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ও তাদের পরিবার পরিজনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে বসবাসরত লোকজন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে ঘাস কাটার জন্য একটি মেশিন ক্রয় করা হয়েছে।নিন্মমানের চায়না মেশিন বিধায় এর মান নিয়ে কথা উঠেছে।যে পরিমান ঘাস ও ঝুপড়ির জন্ম হয়েছে তা পরিস্কার করতে বেশ সময় লাগবে বলে একটি সূত্র জানায়।এছাড়া ড্রেন পরিস্কারে তেমন কোন ব্যাবস্থা আছে কিনা জানাতে পারেনি কেউ।বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন খানের নিকট হাসপাতাল পরিচ্ছন্নের জন্য বাজেট রয়েছে। তিনি চাইলে ওই বাজেটে ইতিমধ্যে হাসপাতালের অভ্যন্তরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারতেন।ডাঃ মামুন খান সোমবার হজ্ব মেডিকেল টিমের সদস্য হিসাবে দের মাসের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন বিধায় সোমবারে তিনি হাসপাতালে আসেননি।মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।জানতে চাওয়া হলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামরুল হাসান সোহেল এ প্রতিনিধিকে বলেন,হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৫ জনের পোষ্ট থাকলেও আছে মাত্র একজন। এতবড় একটি কমপ্লেক্স পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমাদের লোকবলের সংকটসহ বাজেটের একটা ব্যাপার আছে। তারপরও যেহেতু সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকপ দেখা দিয়েছে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নিজস্ব অর্থায়নে হলেও বাহির থেকে লেবার এনে ঝোপঝাড় ও ড্রেন পরিস্কার করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আসস্থ করেন।


আরো পড়ুন