ঈদগাঁওতে ৮ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষিত!ধামাচাপা দিতে মরিয়া প্রতিনিধি সহ অভিযুক্ত কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ্তে ৮ বছরের এক কন্যা শিশু ধর্ষনের শিকার হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। ঘটনায় জড়িত লম্পট ধর্ষক এখনো আটক হয়নি।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
২ আগষ্ট আছরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাছুয়া খালী মুরা পাড়া এলাকায়। ভিকটিমের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ৮ বছরের শিশু কন্যাকে পার্শ্ববর্তী মুরা পাড়াস্থ একটি দোকানে ডালের জন্য পাঠালে দোকানদার একই এলাকার বাডুর ছেলে সেলিম উল্লাহ শিশুটিকে একা পেয়ে দোকানের ভিতর নিয়ে উপর্যপুরী ধর্ষন করে। তার শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে দেখতে পান শিশু কন্যা রক্তাক্ত হয়ে কান্না করছে।তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত মা’কে ডেকে এনে মেয়ের অবস্থা সম্পর্কে অবগত করেন। পরে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এদিকে পরদিন উভয় পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনের কাছে জানালে তিনি স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংসা করার তাগিদ দেন বলে জানান ভিকটিমের মা। একই সাথে ধর্ষক সেলিম উল্লাহর নিকটতম আত্মীয় শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে বেলা ১২ টার দিকে ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিষদে একটি মিটিং আছে বলে জানান। এবং পরে কথা বলব বলে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত আর কল করেনি।
অভিযুক্ত সেলিম উল্লাহ যুবদল থেকে বহিষ্কৃত বলে জানা গেছে,তবে তার পদবি কি ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায় নাই।
শাহজান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মদ্যপ অবস্থায় ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা উভয়েই পরস্পর আত্মীয়। তাই বিষয়টি ঘরোয়ারা ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করছিলাম। তাছাড়া ভিকটিমের বাবা একজন প্রবাসী হওয়ার সুবাদে মা’কে মামলা মোকাদ্দমা না করতে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্বজনরা।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ( ওসি তদন্ত) মোঃ আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ পর্যন্ত ভিকটিম ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কেউ বিষয়টি জানায়নি। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং সদর মডেল থানা থেকে একজন অফিসার হাসপাতালে গেছে।অভিযোগ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷