• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ও যত নির্দেশনা !

অনলাইন ডেস্ক / ১৭৩ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনে শিফটিং ডিউটি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে শিল্প কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। শিল্পকলকারখানাও খোলা থাকবে। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ভিন্ন ভিন্ন শিফটিংয়ের মাধ্যমে কলকারখানায় কাজ করতে পারে।

এর আগে, শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে সোমবার থেকে সারাদেশে লকডাউনের তথ্য জানান।

করোনা সংক্রণ রোধে এর আগে সরকার দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।

নির্দেশনায় সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত, উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেয় সরকার।

এছাড়াও মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করা, রাত ১০ টার পর অপ্রয়োজনে ঘুরাফরা বন্ধ করা,গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন না করা, যান চলাচল সীমিত করা, বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করা সহ ১৮ নির্দেশনা জারি করে সরকার।

এছাড়া গত (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১১ এপ্রিলের পর আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ইস্যু সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে গত ১ এপ্রিল সব নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

এছাড়াও দেশে চলমান বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র ও অন্যান্য মেলা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে যুক্তরাজ্যকে বাদ রেখে পুরো ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ১২টি দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।  বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো এ আদেশ কার্যকর হয়েছে শুক্রবার (২ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা এক মিনিটে।যা বহাল থাকবে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (৩ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৮ লাখ ৭ হাজার ১৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৩৮৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৮৫৬ জন।


আরো পড়ুন