• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

নওগাঁয় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পৌর মেয়র সনিসহ ১১৪ জনকে আসামী করে দুটি মামলা !

রহমতউল্লাহ নওগাঁ, রাজশাহী প্রতিবেদক / ১৭৩ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

নওগাঁ সরকারী কাজে বাধাদান পুলিশকে মারপিট ও জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় নওগাঁয় বিএনপির নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার নওগাঁ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাজমুল হক সনি-সহ ১১৪ জন আসামী করে এই দুটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ রফিকুল আলমসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ১৪ জনকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানা সুত্রে জানা যায়, সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশকে মারপিটের অভিযোগে ৫৭ জনসহ অজ্ঞাত আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলায় হয়। এছাড়া অপর একটি মামলায় সরকারি সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৫৭ জনসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, বুধবার পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত আটককৃত ১৪ জনকে এ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  মামলার পর দুপুরের পর আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়।
 এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় কেডির মোড়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ  মিছিলের বের করার চেষ্ঠা করলে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।  এতে পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান জানান, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ বর্তমান সরকারের আমলে নেই। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কেডির মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়ে।  এতে আমিসহ দলের অন্তত ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
 এ ঘটনার পর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. এজেডএম রফিকুল আলম, মহাদেবপুর থানা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ রাতভর বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, আমরা এই মিথ্যা, সাজানো মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী না করার অনুরোধ ও যানান তিনি।


আরো পড়ুন