• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন

দুর্নীতি ফাঁসে গাইবান্ধার সেই পিআইও নুরুন্নবীর মানহানির দুই মামলায় আদেশ হয়নি আদালতে

মোঃ শাকিল মিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি / ১৮৫ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

ঘুষ-দুর্নীতির সংবাদ ফাঁসে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের দায়ের করা ১২ সাংবাদিকের নামে মানহানির মামলা দুটিতে কোন আদেশ হয়নি আদালতে। তবে বিবাদিদের প্রতি সমন জারির প্রক্রিয়ার পুর্বের আদেশ তাগিদ করেছে আদালত। এছাড়া মামলার পরবর্তী শুনানীর দিনও ধার্য করেনি আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে মামলা দুটির শুনানী হয়। এরআগে, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে মামলার বিবাদিদের প্রাতি সমন জারির আদেশ দেয় আদালত। গত ১৪ মার্চ ওই সমন নোটিশ ইস্যু করা হয়। মামলার দুটির পূর্ব নির্ধারিত ধার্য্য তারিখ ছিলো ২৩ মার্চ। বাদি পক্ষে আদালতে মামলা দুটির শুনানী করেন এ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম। এসময় বাদি পিআইও নুরুন্নবী সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিবাদি পক্ষের আইনজীবি মো. রবিউল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন লিটু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, আদালত মামলা দুটির বিষয়ে কোন আদেশ দেয়নি। শুনানী শেষে আদালত পুর্বের সমন জারির আদেশ প্রক্রিয়া সম্পূন্নর তাগাদা দেয়। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানীর দিনও ধার্য্য করেনি। তারা আরও জানান, মামলা দুটির সমন জারির আদেশ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বিবাদিরা। আদালতের সমন নোটিশও পায়নি তারা।

এদিকে, বিবাদি সাংবাদিকরা বলেছেন, পিআইও নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির দায়ে ৫ বছরে দুদুকসহ পাঁচটি মামলা হয়। তার দুর্নীতি কর্মকাণ্ডের একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার হয় যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আর্থিকখাতে দুর্নীতি, কমিশন বাণিজ্যে সিন্ডিকেট ও অসদচারণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি নুরুন্নবী সরকারের বেতন গ্রেড (ডিমোশন) করাসহ বিভাগীয় মামলা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। মুলত নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে মিথ্যা মানহানির মামলা করেন নুরুন্নবী।

২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর পিআইও নুরুন্নবী সরকার রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালী আমলী আদালতে মামলা দুটি করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে গত বছরের ডিসেম্বরে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে সাতজনকে অব্যহতি দেওয়া হলেও বর্তমানে বিবাদি হলেন, যুমনা টিভির প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশ, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি শেখ মামুন-উর-রশিদ, ভোরের দর্পনের প্রতিনিধি সামছুল হক, চাঁদনী বাজারের প্রতিনিধি আবু জায়েদ কারী ও মানবাধিকারকর্মী মাহাবুর রহমান।


আরো পড়ুন