• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

সাম্প্রদায়িকতা নয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী আটঘর কুড়িয়ানার আ,লীগ নেতা মিঠুন হালদার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী

সুমন খাঁন, নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৬৬ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

সাম্প্রদায়িকতা নয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী আটঘর কুড়িয়ানার তরুন নেতা মিঠুন হালদার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মান ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়নে তিনি বন্ধপরিকর। এ লক্ষ্যকে বুকে ধারণ করে দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন পুরো আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে। তারমত একজন সৎ, যোগ্য, সুশিক্ষিত, উদারচেতা ধর্মবর্ণ বৈষম্যহীন, সচ্ছ সমাজসেবক একজন নির্লোভ মানুষকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে চায় এলাকার সর্বস্তরের সকল পেশার মানুষ।
বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারার আদি উৎপত্তিস্থল পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের গ্রামের একটি সচ্ছল পরিবারে তার জন্ম। বাবা ফনিভূষন হালদার মা পুস্প রানী মিস্ত্রি দুজনই ছিলেন শিক্ষক। দুই ভাইবোনের মধ্যে মিঠুন হালদার বড়। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিজ এলাকায়ই সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে ২০০৩ সালে বোটানিতে এমএসসি পাশ করে কোন চাকুরীতে না গিয়ে এলাকায় ছুটে যান মা মাটি মানুষের টানে।
মাধ্যমিকে ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে হাত খড়ি দেন। বিএম কলেজেও তিনি ছাত্রলীগকে চাঙ্গা করেন এবং সেখানে ২০০৩ সালে ছাত্রলীগ কলেজ শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিতহন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত স্বরুপকাঠি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।
২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত স্বরুপকাঠি উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া পিরোজপুর জেলার সর্ববৃহৎ সংগঠন পূজা উদ্যাপন পরিষদ। এ পরিষদে তিনি ২০১৯ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে বর্তমান পর্যন্ত সুচারুরূপে তিনি কর্মদক্ষতা দেখিয়ে যাচ্ছেন।এ ছাড়াও তিনি অবিনাশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, অবিনাশ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সম্পাদক, অবিনাশ ক্ষুদ্রব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি, নবারূন মাধ্রমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, গণপতিকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিঃ এর কুড়িয়ানা বাজার শাখার এজেন্ট আউটলেট এর দায়িত্ব পালন করছেন।আটঘর কুড়িয়ানার কিশোর কিশোরী থেকে প্রৌঢ় পর্যন্ত প্রায় মানুষই জানান এই উদীয়মান নেতা মিঠুন হালদার মানবতা বোধে বিশ্বাসী। মানবসেবী একজন মানুষ।
তিনি সনাতন ধর্মালম্বী হলেও তার মধ্যে জাতি বেদাবেদে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্দ, খ্রীস্টান, ধর্মের বৈষম্য, হিংসা, বিদ্বেস, লোভ লালসা নেই। তিনি একজন অসম্প্রায়িক উদার মনের পরোপকারী সমাজ সেবক। শিক্ষাজীবন শেষ করে নারীর এলাকায় এসে শক্তহাতে স্থানীয় রাজনীতির হাল ধরেন। যার ফরে এ এলাকায় প্রতিহিংসার রাজনীতি, দলের মধ্যে তেমন কোন বিভাজন নেই। রাজনীতির পাশাপাশি এ এলাকার মানুষকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করা, এলাকার উন্নয়ন করা, বিভিন্ন ফসলের চাষীদের প্রশিক্ষিত করা, শতভাগ মানুষকে শিক্ষিত করা, দারিদ্রতা বিমোচন করা, বেকারত্ব দুরকরা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, পিছিয়ে থাকা নারী সমাজকে অগ্রগামি ও সচেতন করা সহ এ সমাজকে সুশীল সমাজে রূপান্তর করে গড়ে তুলতে দিনরাত একাগ্রতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কোন জাতপাত না ভেবে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে আর্থিক সহ সবরকমের সহায়তা, এলাকার সমস্যার সমাধান, অভাবগ্রস্ত যে কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপকরণ বেতন, পরীক্ষার ফি, স্কুলড্রেস দেয়া তার একটি রুটিন ওয়ার্ক।
চলতি করোনা কালীণ সময়ে ঝড় বৃষ্টি বিপত্তি উপক্ষো করে তিনি আড়াই হাজার পরিবারকে বাড়িতে গিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। যোগাযোগের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তারা আরও বলেন তরুন নেতা মিঠুন হালদার এ এলাকার অনেকের বটবৃক্ষ। তার ছায়ায় অনেক পরিবার বেঁচে আছে। তিনি মসজিদ, মন্দির নির্মানে ও এতিমদের সহায়তায় ব্যাপক অনুদান দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। তার মত একজন ভালো মানুষ আমাদের মাঝে থাকায় আমরা অনেক নিরাপদে এলাকায় বসবাস করছি।
তার সাথে দলের স্থানীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয় সব বিভাগের প্রশাসনের সাথেও রয়েছে তার সুসম্পর্ক, তার মত একজন যোগ্য মানুষকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন ইউনিয়নের ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ। সদাহাস্যজ্বল মিঠুন হালদার জানান এলাকার উন্নয়ন, মানুষের কল্যাণ, ও তাদের ঐক্যবদ্ধ রাখা একটি সুশিক্ষিত, সুশীল সমাজ গঠন করা আমার স্বপ্ন। যার জন্য আমি কোন চাকুরীতে না গিয়ে এলাকার দুঃস্থ, অসহায়, অবহেলিত মানুষের মাঝে পড়ে রয়েছি। আমি ব্যক্তিগত অর্থদিয়ে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকার মানুষ আমাকে চেয়ারম্যান বানাতে চায়।
মানুষের দাবী পূরণ করতে আমি আমার নেতা, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, জননেত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনার কাছে দলীয় মনোনয়নের দাবী জানাবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে। দল মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলের মর্যাদা রক্ষা করবো।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে, বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারা অঞ্চল আটঘর কুড়িয়ানায় পর্যটকদের জন্য একটি আধুনিক রেস্টহাউজ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল উন্নয়ন, পেয়ারা, আমড়া, সুপারী সহ এ এলাকার উৎপন্ন শাক সব্জির বাজারজাত করনের জন্য উন্নত বাজারের ব্যবস্থা, পেয়ারা সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এলাকায় পেয়ারার জেলির কারখানা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করবো। এলাবাসাীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা, দারিদ্রতা বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরন, আমার অগ্রণী ভূমিকা থাকবে। বিভিন্ন সরকাারি সহায়তা, অনুদান বিতরণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য থাকবে না। সুষম উন্নয়ন করবো। প্রাপ্য অনুযায়ী সকলকে সম্মান করা শতভাগ নিশ্চিত করবো।


আরো পড়ুন