কুমিল্লা সিটির ১৬নং ওয়ার্ড সংরাইশে আলোচিত মতিন সর্দার হত্যা মামলায় প্রকৃত দোষীদের সাথে,নিরপরাধ ৫ব্যক্তি কে আসামি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়,ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় সংরাইশের মতিন সর্দারকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আল আমিন পিতাঃমৃত ইদু মিয়া,গ্রামঃ সংরাইশ,থানাঃকোতয়ালী মডেল, জেলাঃকুমিল্লা গংরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিয়ে,নিজের মাঠ ক্লিয়ার করতে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল ওরফে মুহুরী বাবুল নিরপরাধ ৫ব্যক্তি সহ,মোট ১৪জনকে আসামি করে।গত কাউন্সিলর নির্বাচনে বিরোধিতার জের ধরে বাবুল মুহুরী সুযোগ বুঝে ওই ৫ব্যক্তি কে মতিন সর্দার হত্যা মামলায় নাম ঠুকিয়ে দেয় এবং বহু ঘর বাড়ি ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এদের মধ্যে ঘটনায় কোন ভাবেই জড়িত না থেকেও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে রনি পিতাঃমৃত কানাই,সানজিদ পিতাঃসাহিনুর উভয়,মাসুম পিতাঃমনজিল,সিরাজ পিতাঃমৃত ফজল হক,আলা পিতাঃমধু মিয়া সর্বসাং-সংরাইশ থানাঃকোতয়ালী মডেল জেলাঃকুমিল্লা কে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। হত্যা মামলার বাদী নিহতের পুত্র শামীম জানান,শীর্ষ সন্ত্রাসী আল আমিন, সাজেম সহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে মতিন সর্দার কে।দোষীদের ফাঁসির দাবিতে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল একাধিক আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। মূল আসামি আল আমিন পলাতক রয়েছে। উল্লিখ্য ১৬নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র তুচ্ছ ঘটনায় মহিন হত্যা কান্ড,শহীদ হত্যাকাণ্ড,জানু মিয়া খুন সহ একাধিক হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল জানায়,হত্যা মামলার আসামি পক্ষ মিথ্যা বলছেন। হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতদের পরিবার এবং এলাকাবাসী।