• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা! একই দিনে আরও ১৫ জন আক্রান্ত!!

/ ২৯২ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

আব্দুল্লাহ আল মামুনক ভূঁইয়া(বাবু)-(কুমিল্লা জেলা থেকে):কুমিল্লায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। কিন্তু ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেলেও জেলার ১৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই শনাক্তকরণ সরঞ্জাম।

বৃহস্পতিবার ১৫ জন রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোগীদের অধিকাংশই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এদিকে ডেঙ্গু নিয়ে অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নগরসহ জেলার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই থেকে বুধবার পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৩ জন রোগী ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
প্রথমদিকে চাপ কিছুটা কম থাকলেও ক্রমান্বয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।এদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে এসেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ৪র্থ তলায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালে সিট না থাকায় পুরুষ রোগীদের অনেককেই ফ্লোরে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
আর নারী রোগীর সংখ্যা কম হওয়ায় মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডের সামনে বেডে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনরা জানান, ঢাকায় থাকা অবস্থায় তাদের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
কিন্তু ঢাকার হাসপাতালগুলোতে সিট না পাওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ জেলার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। জ্বরে আক্রান্ত হওয়া অনেকেই প্রতিদিন ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ছুটে আসছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ জেলার ১৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতামূলক ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করা হলেও এসব হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু শনাক্তকরণের কোন ব্যবস্থা।

এতে আরও দুর্ভোগে পড়ছেন ভূক্তভোগীরা। ফলে নিরুপায় হয়ে তাদেরকে আসতে হচ্ছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম জানান,শুধু কুমিল্লা নয়,পাশের জেলার লোকজনও ডেঙ্গু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এখানে আসছেন। প্রতিদিনই এখানে ২০-৩০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হচ্ছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। চিকিৎসকগণও রোগীদের বিষয়ে অনেক আন্তরিক। ইতিমধ্যে ১৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ সরঞ্জাম না থাকার কথা স্বীকার করে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এ সরঞ্জাম না থাকার বিষয়টি মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে। এরপরেও আমরা ডেঙ্গু বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি।


আরো পড়ুন