• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

স্বরূপকাঠিতে নিজ বসতবাড়িতে পাকাভবনে নির্মানে প্রতিপক্ষের হয়রানীর শিকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

সুমন খান, নিজস্ব প্রতিবেদক / ৮৬৩ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পিরোজপুর নেছারাবাদ স্বরূপকাঠির উপজেলার নিজ বসতবাড়িতে পাকাভবনে নির্মানে
প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষের হয়রানীর স্বিকার হতে হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক  অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও তার পরিবারকে। পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নির্মল কুমার মিস্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ তার পরিবার নিয়ে নিজের বসতভিটায় কাঠের ঘরে বসবাস করে আসছেন।
তার বসতবাড়িটি পাকা করার জন্য কাঠের ঘর লাগোয়া করে  পাকা ভবন নির্মান করতে গিয়ে বিভিন্ন দফতরে থানায়, কোর্টে বার বার মামলা ও দুর্দশার  স্বিকার হতে হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নির্মল কুমার মিস্ত্রীকে। পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নির্মল কুমার মিস্ত্রী অভিযোগে বলেন একই বাড়ির মৃত্যু কার্তিক চন্দ্র এদবর এর ছেলে কৃষ্ণ কান্ত এদবর  নিজ বাড়িতে পাকা ভবন নির্মানে বাধা দিতে বার বার মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। নেছারাবাদ মৌজার রাজাপুর ব্রাম্মনকাঠি জে এল নং ২৭, বি এস নং ৪৪০ নং খতিয়াতে ২৫৩৮ নং দাগে ৪৩ শতাংশ জমি  বিগত ২০০ বছর ধরে ঐ  বসতবাড়িতে নির্মল কুমার মিস্ত্রীর পূর্ব পুরুষ হতে অদ্যবধি ওয়ারীশগন ভোগ দখল করে আসছে। ঐ ভোগদখলীয় জমিতে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নির্মল কুমার মিস্ত্রী পাকা ভবনের কাজ শুরু করে।
তিনি ১২ টি পিলার সহ ভেইজ ঢালাই ও বালু ভরাটের কাজ শেষ হলে দেশে মহামারী করোনার প্রকোপ আসলে কাজ বন্ধ রাখে। এর পর ঐ জমি অবৈধভাবে দখলের উদ্ধেশ্যে একই বাড়ির কৃষ্ণকান্ত এদবর নির্মল কুমার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মানহানী ও হয়রানী ও অর্থদন্ডের উদ্দেশ্যে দেঃ মোঃ নং ৫৭/২০, মিস আপিল নং ১৩/২০, এম পি নং ২৬৪/২০  সিভিল রিভিশন নং ১৩/২০, নন জি আর নং ৪৪/২০, এম পি কেচ নং ১৯৬/২০ মামলা দায়ের করে এবং কাজ করতে বাধা প্রধান করে।  মামলার বিপরীতে আপিল করে  নির্মল কুমির মিস্ত্রী ৫৭/২০ নং মামলায় রায় পেয়ে করোনার পর কাজ শুরু করে। কিন্তু থানা পুলিশ ২৬৪/২৯ মামলার বলে পুনরায় কাজ বন্ধ করে দেয়।  উক্ত মামলায়ও রায় পেয়ে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নির্মল কুমার মিস্ত্রী পুনরায় দ্বিতীয়বার কাজ শুরু করলে আবারো  এম পি নং ৯৬/২১ মামলা করে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এভাবে একই জমির উপর বার বার মামলা করে পক্ষন্তরে বিবাধী পক্ষ বার বার মামলায় রায় পেয়ে ও এই ভোগান্তি ও দুর্দশার স্বিকার হচ্ছে অসহায় ঐ মানুষ গড়ার কারিগর। গতবছর অভিযুক্ত মৃত্যু কার্তিক চন্দ্র এদবর এর ছেলে কৃষ্ণ কান্ত এদবর আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর নির্মল কুমির মিস্ত্রীর নামে লিখিত অভিযোগ দিলে পরিষদের চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার ঘটনা তদন্ত পূর্বক মিমাংশার জন্য রিপন হালদার ও জহর মন্ডলকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠায়। তারা জানতে পারে পরিষদে অভিযোগ দেয়ার আগেই কৃষ্ণ কান্ত এদবর থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশের তদন্ত অফিসার আউয়াল ঘটনাস্থল আমিন দ্বারা তিনবার পরিমাপ করে সিমানা নির্ধারন করে দেয়।
শেখর চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিষদের প্যাডে দেয়া প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ রয়েছে যে নির্মল কুমার মিস্ত্রীর অর্ধ নির্মিত বিল্ডিং তার ভোগ দখলীয় জমির অংশেই নির্মান করা হইতেছে এবং কৃষ্ণ কান্ত এদবর মিথ্যা ও ধুর্ত প্রকৃতের লোক হওয়ায় শালিশ মিমাংসা অমান্য করে কোর্ট কেস করে। অন্যায় ভাবে অসহায় এই নির্মল মিষ্টারকে কৃষ্ণ কান্ত এদবর হয়রানী করতেছে। প্রসংগত বসতবাড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করার বৈধতা কতটুকু এবং একই জমিতে অবৈধভাবে  বার বার  মামলা করে একজন শিক্ষককে এভাবে হয়রানী করাও কতো টুকু যুক্তিযুক্ত তাও খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছেন ঐ অসহায় শিক্ষক ও তার পরিবার।


আরো পড়ুন