নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- নেছারাবাদ স্বরুপকাঠীতে রহিমা বেগম স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বরূপকাঠী হাসপাতালের বেডে দিন কাটাচ্ছেন। জানা যায়, আলংকারকাঠী গ্রামের মোবারেক আলীর মেয়ের সাথে দীর্ঘ ৩ বছর পূর্বে একই এলাকার করিম ফরাজির ছেলে রফিকের সাথে বিয়ে হয়। এটা রফিকের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই রহিমার উপর শারিরীক নির্যাতন ও যৌতুক বাদী করিত। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয় নাই। রহিমার উপর চলত নির্যাতনের ষ্টিম রোলার। রহিমা জানায়, গত ২৫ আগষ্ট দুপুর রান্না করতে দেরি হওয়ায় রফিক এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি লাঠি দিয়ে পিয়ে শরিরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা-ফুলা জখম করে। রহিমার বড় ভাই সংবাদ পেয়ে রহিমাকে উদ্ধার করে স্বরূপকাঠী হাসপাতালে ভর্তি করেন। রহিমা আরও বলেন, রফিক ও তার বড় ভাই এবং ঝা মিলে রহিমাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করিত।
রহিমা বেগম স্বামী রফিক,তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী ফুলি বেগমের নামে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। নেছারাবাদ থানা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা রহিমা তার স্বামী, ভাসুর ও ঝায়ের অমানুষিক নির্যাতন দিনের পর দিন সহ্য করে, অবশেষে গতকাল থানায় এসে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-১২।