• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

১০৩টাকায় ৩০৭জন কুমিল্লা জেলাই পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে আনন্দে আপ্লুত সবাই

/ ৪৪৪ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি:চাকরি পাওয়া এক যুবক খুশি কান্নায় পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানান। এক গার্মেন্টস-শ্রমিক চাকুরী করা মেয়েটি ফোনে
জানলো পুলিশে চাকুরী পেয়েছে ৮জুলাই-২০১৯ইং..
তখন মধ্য দুপুর। কুমিল্লা ইপিজেড-এর ব্রান্ডিক্স কোম্পানীতে চাকুরী করে কাজল রেখা সুমা। ৮ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ কাজল রেখা সুমা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়ে। ছোট আরো এক বোন ইপিজেড-এ চাকুরী করে। মা এবং সেই বোন সহ ইপিজেড এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকে।
আর্থিক অনটনের সংসারে মায়ের উৎসাহে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশে নিয়োগ হবে শুনে মায়ের উৎসাহে কুমিল্লা পুলিশ লাইনস্ মাঠে এসে দাঁড়ায়। প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয় সুমা। অংশগ্রহণ করে লিখিত পরীক্ষায়। লিখিত পরীক্ষাতেও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয় সুমা। মৌখিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত সুমার খোঁজ করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম। জানতে পারেন কাজল রেখা সুমা যে গার্মেন্টস-এ চাকুরী করে সেখানকার ম্যানেজার ছুটি দিতে নারাজ। পরে পুলিশ প্রশাসন থেকে ফোন গেলে তাকে ছুটি দেয়। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয় সুমা। পেয়ে যায় বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকুরী। মুরাদনগরের পপিও নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসএসসি পাশ করে৷ তারপর মায়ের পরিশ্রমে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। সুযোগ আসে পুলিশের চাকুরীর। বাবা ইদ্রিস মিয়া পক্ষাঘাতগ্রস্থ। ৫ ভাই ৩ বোন পপিরা । অন্যের বাড়ীতে গৃহকর্মীর কাজ করে পপিকে এতদূর লেখাপড়া করিয়েছেন মা । মেয়ে এখন পুলিশে চাকুরী পেয়েছে। আজ তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, যারা চাকুরী পেয়েছে তারা অত্যন্ত মেধাবী এবং বেশীর ভাগ খুবই অভাব অনটনের সাথে যুদ্ধ করে এতদূর এসেছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে বলতে পারি জেলা পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যোগ্যরা নির্বাচিত হয়েছে।আমরা ফেরেশতা নই, তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা ভুল করিনি। আমরা সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। আজ যে তিনশ সাত জন পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছে তারা অদূর ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা, দক্ষতার সাথে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ মাত্র একশ তিন টাকায় তারা চাকুরী পেয়েছে। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তারা কাজ করবে। তাই তাদেরকে কখনোই দূর্নীতি স্পর্শ করবে না। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন সফলতা ও মঙ্গল কামনা করছি।
হোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানান। এক  গার্মেন্টস-শ্রমিক  চাকুরী করা মেয়েটি ফোনে জানলো পুলিশে চাকুরী পেয়েছে ৮জুলাই-২০১৯ইং..
তখন মধ্য  দুপুর। কুমিল্লা ইপিজেড-এর ব্রান্ডিক্স কোম্পানীতে চাকুরী করে কাজল রেখা সুমা। ৮ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ কাজল রেখা সুমা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে ডিগ্রি  প্রথম বর্ষে পড়ে। ছোট আরো এক বোন ইপিজেড-এ চাকুরী করে। মা এবং সেই বোন সহ ইপিজেড এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকে।
আর্থিক অনটনের সংসারে মায়ের উৎসাহে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।  পুলিশে নিয়োগ হবে শুনে মায়ের উৎসাহে কুমিল্লা পুলিশ লাইনস্ মাঠে এসে দাঁড়ায়।  প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয় সুমা। অংশগ্রহণ করে লিখিত পরীক্ষায়।  লিখিত পরীক্ষাতেও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয় সুমা। মৌখিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত সুমার খোঁজ করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম। জানতে পারেন কাজল রেখা সুমা যে গার্মেন্টস-এ চাকুরী করে সেখানকার ম্যানেজার ছুটি দিতে নারাজ। পরে পুলিশ প্রশাসন থেকে ফোন গেলে তাকে ছুটি দেয়। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয় সুমা। পেয়ে যায় বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকুরী।
মুরাদনগরের পপিও নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসএসসি পাশ করে৷ তারপর মায়ের পরিশ্রমে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। সুযোগ আসে পুলিশের চাকুরীর। বাবা ইদ্রিস মিয়া পক্ষাঘাতগ্রস্থ। ৫ ভাই ৩ বোন পপিরা । অন্যের বাড়ীতে গৃহকর্মীর কাজ করে পপিকে এতদূর লেখাপড়া করিয়েছেন মা । মেয়ে এখন পুলিশে চাকুরী পেয়েছে। আজ তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। 
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, যারা চাকুরী পেয়েছে তারা অত্যন্ত মেধাবী এবং বেশীর ভাগ খুবই অভাব অনটনের সাথে যুদ্ধ করে এতদূর এসেছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে বলতে পারি জেলা পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যোগ্যরা নির্বাচিত হয়েছে আমরা ফেরেশতা নই, তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা ভুল করিনি। আমরা সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। আজ যে তিনশ সাত জন পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছে তারা অদূর ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা, দক্ষতার সাথে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ মাত্র একশ তিন টাকায় তারা চাকুরী পেয়েছে। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তারা কাজ করবে। তাই তাদেরকে কখনোই দূর্নীতি স্পর্শ করবে না। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন সফলতা ও মঙ্গল কামনা করছি।


আরো পড়ুন